Monday, February 24, 2014

বাঙালি সেক্সি লেডি ডাক্তারদের গল্প ১


হ্যালো কে গীতা বলছ ?
কে ডলুদি কথা বলছ? আমরা তো তোমার ফোনের জন্যই অপেক্ষা করে ছিলাম. কি,আমাদের ছেলেগুলোকে কিরকম দেখলে বলনাগো.সব ঠিক আছে তো?
আরে সেই জন্যই তো ফোনটা করলাম. আনেক মজার ঘটনা বলার আছে আর তার সাথে কিছু দরকারী কথাও আছে.
ওমা তাই নাকি? কি হয়েছে বালোনাগো.
বলছি বলছি, সব বলছি তোমাকে.
আমি আবার এতদিন বাদে ডাক্তারি করা শুরু করছি শুনে তোমরা মায়েরা সবাইতো আমাকে খুব করে ধরলে যে আমি যেন তোমাদের ছেলেগুলোকে মানে আমার আদরের তিন ভাগ্নেকে পড়াবার সাথে সাথে ওদের শরীর সাস্থ্যর দায়িত্ব্যটাও নিই. আমিও ভাবলাম সত্যিই তো ! এতদিন ধরে ওদের আমি পড়াচ্ছি, আর আজ আমি যখন আবার ডাক্তারি শুরু করছি তখন আমার নিজের আদরের ভাগ্নেগুলোকে পরীক্ষা করবনা সেটা কি হয়?কিন্তু আবার এটাও মনে হলো যে যতই আমি ওদের নিজের ডলুমাসি হইনা কেন, ওদের চোখে আমি এখনো ওদের একজন শিক্ষিকা,তাকে হঠাত একজন ডাক্তার হিসেবে মেনে নিতে ওদের বেশ অসুবিধা হতে পারে,তাছাড়া ওরা বেশ বড় হয়েছে,এত বড় ছেলে হয়ে একজন লেডিডাক্তারকে দেখাতে ওদের আপত্তিও থাকতে পারে.
আরে না না ডলুদি, তুমি ওসব নিয়ে একদম ভাববেনা.ওরা এমন কিছু বড় হয়নি যে ওরা নিজেরা ঠিক করবে যে একজন মহিলাডাক্তারকে দেখাবে কিনা.আমরা মায়েরা যখন ঠিক করেছি যে এখন থেকে তুমিই ওদের চিকিত্সা করবে, তখন এটাই ওদের মেনে নিতে হবে.আগে তুমি ডাক্তারি করতেনা তখন না হয় অন্য ব্যাপার ছিল.এখন নিজের মাসিই যেখানে ডাক্তার তখন সেই ডাক্তারমাসিকে দেখাবেনাতো কাকে দেখাবে? ওদের কত সৌভাগ্য যে ওদের ডলুমাসী ওদের ডাক্তারি করবে. হলেইবা তুমি লেডিডাক্তার, তোমার চেয়ে ভালো করে কেউ ওদের ডাক্তারি করবেনা.তুমি কোনো চিন্তা কোরো না,সেরকম ঝামেলা করলে আমরা মায়েরা ওদের জোর ধমক দিয়ে আবার তোমার কাছেই পাঠাবো.
হ্যা গীতা, সেটা তো আমি জানিই যে তোমাদের কত ভরসা আমার ওপর. আমি আবার ডাক্তারি করব শুনে তোমরা কত খুশী হয়েছ. সত্যি বলতে কি প্রথমে ঐসব চিন্তা মাথায়ে এলেও পরে আমি ঠিক তোমার মতই ভাবলাম – ঠিকই তো, কত আর বড় হয়েছে ছেলেগুলো, একজন মহিলাডাক্তার হলেও আমি ওদের পরীক্ষা করতেই পারি. প্রথম প্রথম হয়ত একটু লজ্জা সংকোচ করবে, কিন্তু পরে আমি ওদের ঠিক সব সংকোচ অস্বস্থি ভাঙিয়ে দেব. তাছাড়া তুমি ঠিকই বলেছ, আমি লেডিডাক্তার মাসি হয়ে আমার আদরের ভাগ্নেদের ডাক্তারি না করলে কে করবে বলো?
তাছাড়া শুধু আমার ভাগ্নেরা কেন, সব ছেলে বা পুরুষ রোগীদেরই ক্ষেত্রেই আমাদের লেডিডাক্তারদের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হয় ওদের লজ্জা আর সংকোচ কাটিয়ে দেওয়ার জন্য, যাতে ভবিষ্যতে আমরা ওদের ওপর সবরকমের ডাক্তারি করতে পারি.
কাল রাত্রে এটা ভাবতে ভাবতেই মনে হলো, আরে! আগামীকাল তো শনিবার, ছেলেগুলোতো সকালেই পড়তে আসবে. তাহলে কালকেই আমি ওদের ডাক্তারি শুরু করে দিই না কেন. তোমরা মায়েরা আর আমি মাসি মিলে যখন ঠিক করেই ফেলেছি যে এখন থেকে আমিই ওদের ডাক্তার হব, তখন শুভ কাজে দেরি করে কি লাভ. ঠিক করলাম যে প্রথমদিন শুধু রুটিন চেকআপ করব ওদের. সেরকম কিছু দেখলে পরে আরও ভালো করে সেটার চিকিত্সা করব. সেই জন্যই কাল রাত্রে তোমাদের ফোন করে বললাম আমার প্ল্যানটা, যাতে কালকে তোমরা বিল্টু,পল্টু আর সন্তুকে অবশ্যই আমার কাছে পড়তে পাঠাও. তোমাদেরও আমার প্রস্তাবটা ভীষণ ভালো লেগে গেল.
ডাক্তারির ব্যাপারটা ইচ্ছে করেই ওদের বলতে বারণ করেছিলাম, নাহলে শুধু শুধু ওরা ঘাবড়ে যেত. আমি মনে মনে এটাই ঠিক করে রেখেছিলাম যে একবার এখানে এলে আমি নিজেই ওদের আস্তে আস্তে আমার ডাক্তারি পরীক্ষার মধ্যে নিয়ে আসব. আর এর জন্য অনেকরকম মনস্তাত্বিক কায়দা আছে, যেগুলো আমার আদরের ভাগ্নে রোগীদের উপর আমাকে প্রয়োগ করতে হবে. অনেক ছেলেরোগী থাকে যারা ভীষণ অবাধ্য, উগ্র স্বভাবের হয়,তারা কিছুতেই লেডিডাক্তারদের কাছে দেখাতে চায়না.তখন তাদের মায়েরা কিছু না বলেই আমাদের কাছে নিয়ে আসে. আমাদেরই তখন নানান রকম সাইকোলজিকাল উপায়ে ওদের রাজি করাতে হয় একজন লেডি ডাক্তারকে দিয়ে নিজের চিকিত্সা করাতে.
যদিও আমার ভাগ্নেগুলো অবশ্য সবকটাই বেশ ভালো ছেলে, বিল্টু আর পল্টুটার একটু দুষ্টু বুদ্ধি মাঝে মাঝে কাজ করে এই আর কি, কিন্তু তোমারটা তো একদম গোবেচারা লক্ষী ছেলে. ওই জন্যই সন্তুকে আমি একটু বেশিই ভালবাসি. তবে ওদের কারো ক্ষেত্রেই ঐসব উগ্র,অবাধ্য রোগীদের মতো অত ঝামেলার আশংকা ছিলনা.কিন্তু তোমরা মায়েরা যাই ভাবনা কেন,এটা আমি জানতাম যে নিজেদের শিক্ষিকা মাসিকে এতদিন পরে হঠাত লেডিডাক্তার মাসি হিসেবে মেনে নিতে তোমাদের ছেলেগুলোর বেশ অসুবিধা হবে.আর একবার যদি ওদের মনে আমাকে ওদের ডাক্তার হিসেবে গ্রহন করতে তীব্র অস্বস্থি বা আপত্তি ঢুকে যায় তখন তোমরা বকে ধমকেও ওদের আমার কাছে পাঠাতে পারবেনা, এমনকি ওরা আমার কাছে পড়তেও আসতে চাইবেনা.

Share This Post →

No comments:

Post a Comment

Powered By Blogger |   Design By Seo Blogger Templates
DMCA.com